বিধানসমূহজীবপ্রযুক্তির উপকারী ভূমিকার মধ্যে রয়েছে-খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি; খাদ্যের পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ বৃদ্ধিতে: চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন; খাদ্যাভ্যাসের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন ক্রনিক রোগের চিকিৎসা।
জীবপ্রযুক্তি একটি নতুন ক্ষেত্র এবং এ প্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্ভাবিত জীবসমূহের (LMOs, Living Modified Organisms) পরিবেশের সাথে কী ধরনের আন্তঃক্রিয়া হতে পারে তা এখনও অজানা রয়ে গেছে। কেউ কেউ এ নতুন প্রযুক্তিতে উদ্ভাবিত জীবসমূহের জীববৈচিত্র্যে প্রতিকূল প্রভাব অথবা এর গ্রহণে মানব স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকির আশঙ্কা পরিবেশের উপর প্রতিকূল প্রভাব বিস্তার করতে পারে। আবার জীব প্রযুক্তি ব্যবহার করে যে সমস্ত ফসল উদ্ভাবন করা। করছেন। অনেক সময় ক্ষতিকারক কীটপতঙ্গ দমনের জন্য যে জীবপ্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় তা উপকারী কীট-পতঙ্গ তথ্য হয় তার মধ্যে আগাছার বৈশিষ্ট্য প্রকট হয়ে যেতে পারে এবং তারা অন্যান্য প্রজাতির অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দেখা। দিতে পারে। আবার কোন জীবে নতুন জিন স্থানান্তরের মাধ্যমে যে প্রকরণ সৃষ্টি করা হয় সেই সমস্ত জিনের স্থায়ীত্ব খুব কম হতে পারে অথবা যে কোন সময়ে ঐ প্রকরণের নতুন জিনের সংযুক্তি ভেঙ্গে যেতে পারে।
জীবপ্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্ভাবিত জীবে নিম্নলিখিত স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দিতে পারে : এলার্জি; বিষক্রিয়া: পুষ্টির ভারসাম্যহীনতা, খাদ্য বৈচিত্র্য হ্রাস।কৃষি, স্বাস্থ্য, জ্বালানী, পরিবেশ ইত্যাদি ক্ষেত্রে জীবপ্রযুক্তির অর্থনৈতিক সম্ভাবনা সর্বজন স্বীকৃত। কিন্তু সাথে সাথে GMOs (Genetically Modified Organisms) নিয়ে শঙ্কা রয়েছে যে মানবস্বাস্থ্য বা পরিবেশের উপর এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে। GMOs-এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন জীব থেকে জিনের যে সংমিশ্রণ ঘটানো হয় তা হয়ত প্ৰাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। আরও শঙ্কা করা হচ্ছে যে ট্রান্সজেনিক জীবসমূহকে যদি মুক্তভাবে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হয় তবে তা অনেক প্রাকৃতিক বা বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতি সমূহের জন্য ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে। এসব বিষয় বিবেচনা করে Convention on Biological Diversity এবং Cartagena Protocol অনুযায়ী বাংলাদেশে জীবপ্রযুক্তি প্রয়োগ বা কোন GMO অবমুক্ত করার ক্ষেত্রে কিছু বিধান করার সুপারিশ করা হয়।
আরও দেখুন...